ছাগলের মত চড়ে , আবোল তাবোল কথা বলে - দীলিপ ঘোষকে কটাক্ষ অনুব্রতর

8th September 2020 7:46 pm বর্ধমান
ছাগলের মত চড়ে , আবোল তাবোল কথা বলে - দীলিপ ঘোষকে কটাক্ষ অনুব্রতর


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে বিরোধী বিজেপি। আর মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ এনিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়েছেন। তার জবাবে এদিনই দিলীপ ঘোষকে ছাগল বলে কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আউশগ্রাম ২ ব্লকের তিনটি অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার বুথভিত্তিক কর্মীসম্মেল করতে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, " ওর কোনও বুদ্ধি নেই‌ দিলীপ ঘোষ ছাগলের মতন চড়ে। আর বোকার মতন কথা বলে।" মঙ্গলবার আউশগ্রাম ২ ব্লকের তিনটি অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে বুথভিত্তিক কর্মীসম্মেলন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।  আর এদিন মঙ্গলবার  তিনি আউশগ্রাম ২ ব্লকের অমরপুর, রামনগর এবং ভেদিয়া এই তিন অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে বুথভিত্তিক কর্মকর্তা সম্মেলন করলেন। প্রথমেই অমরপুর অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে অনুব্রত সভা করেন। তারপর রামনগর অঞ্চলের কর্মকর্তা সম্মেলন হয় গোষ্বামীখন্ডের মাঠে।  প্রতিটি বুথসভাপতি থেকে সংশ্লিষ্ট বুথের পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। বিগত লোকসভা ভোটে যেসব বুথে দল পিছিয়ে ছিল সেইসব বুথের কর্মীদের নির্দেশ দেন দলকে জেতাতেই হবে। বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের বুঝিয়ে দলে নিয়ে আসতে হবে। যেসব বুথে দল এগিয়ে ছিল সেইসব বুথে ভোটের লিড বাড়ানোর জন্য বলেন। শুধু তাই নয়, ভোটের লিড বাড়ালে গ্রামের রাস্তা উপহারের কথা দেন অনুব্রত। সভা চলাকালীন দেখা যায়  রামনগর অঞ্চলের সোড্ডা দারিয়াপুর গ্রামের ৪১ নম্বর বুথের দলীয় সভাপতি শেখ সেলিমের কাছে খোঁজখবর নেওয়ার সময় অনুব্রত তাকে প্রশ্ন করেন, " আপনার বুথে তাই আমরা এগিয়ে রয়েছি। বিধানসভা ভোটে লিড বাড়াতে পারবেন তো?" সেলিম নেতাকে বলেন, " অবশ্যই পারবো। বিধানসভা ভোটে আমাদের অনেক বেশি লিড হবে।" তখন অনুব্রত তাকে বলেন, " যদি বিধানসভা ভোটে লিড বেশি হয় তাহলে আপনাদের গ্রামের যেকোনও একটি রাস্তা করে দেবো।কথা দিলাম।"
।  রামনগর অঞ্চলের পর সবশেষে ভেদিয়া অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে বুথভিত্তিক কর্মীসম্মেলন করেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তখন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হন।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।